পরিস্থিতি, সময় ও বিশ্বাস।

বর্তমান সময়ে আমরা সবকিছু খুব সহজে পাই, তারপরও আমরা ভেজালের সাথে সম্পৃক্ত। এমনও একটা সময় ছিল যখন মানুষ খাওয়ার জন্য খাবার পায়নি, পান করার জন্য পানি পায়নি। হরেক রকমের খাবারের তো প্রশ্নই আসে না তারপরও মানুষ ভেজালের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। কারণ তাঁদের অন্তরে ছিল আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং মানুষের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হতে থাকে, মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী, বৃদ্ধি পায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ কুরআন হাদীসের প্রকৃত জ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে, দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনে মগ্ন হয়ে যায়। দুনিয়ার ক্ষনিকের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষের কাছ থেকে ধর্মীয় বুঁদ শক্তি লোপ পেতে থাকে। শুরু হয় চোরি ডাকাতির মতো জগন্য পাপ কাজও, যে সময়ে মানুষের গড় আয়ু ছিলো ১৩০-১৫০ বছর, ক্ষনিকের ব্যবধানে দোষ্চিন্তা ও ভেজালের পাল্লায় পড়ে মানুষের গড় আয়ু হয়ে গেল ৮০-৯০ বছর। এরপর শুরু হলো ভেজালের উপর প্রতিযোগিতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভেজাল জিনিস তৈরিতে যে যতবেশি এগিয়ে, তার দামও তত বেশী। ফলে শারীরিকভাবে মানুষ রোগের সাথে তো পাঞ্জা লড়ছে। এবং হঠাৎ মৃত্যু নিত্য দিনের কাজে পরিণত হয়েছে। এই পৃথিবী একেবারেই তুচ্ছ ~ এটিকে ভালোবাসার মানুষ সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত।
আসুন আমরা সবাই দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করি, হিংসা বিদ্বেষ লোভ লালসা ইত্যাদি ঘৃণিত কাজ বর্জন করি।
এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসি।
তাহলে আমাদের মন হবে শান্তিপূর্ণ জীবন হবে সুন্দর, হায়াত হবে বরকতময় এবং ঈমান হবে মজবুত।

Comments

Popular posts from this blog

"Surprise" চান? নাকি "Satisfaction"???

ছাত্র এবং শিক্ষক সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা।