"Surprise" চান? নাকি "Satisfaction"???
আমরা মানুষ, আর আমাদের একটা মন আছে। অতএব মন মানে পরিবর্তন, আরো আছে জ্ঞান, যার অর্থ দলীল দ্বারা প্রমাণিত বস্তুর সমর্থনকারী। উভয়টার মধ্যে যাদের একটা কম আছে তাদেরকে আমরা শুধু শুধু মানুষ না বলে জনসংখ্যাও বলে থাকি। এবার আসুন আমরা কতটুকু মানুষ আর কতটুকু জনসংখ্যা যাচাই করি। আমরা জানি কর্তা ছাড়া দুনিয়াতে কোন কিছু এমনিতেই হয় না, যার দলীল কর্তা হতে হলে অবশ্যই প্রাণ থাকতে হবে আর প্রাণ হলো আল্লাহর হুকুম, কারণ আমরা জানি পৃথিবীতে ছোট বড় যা কিছু কাজ হয় এর পেছনে একজন কর্তার হাত থাকে। যদি এর পেছনে কোনো কর্তার হাত না থাকে তাহলে সেটাকে আমরা কাজ বলতে পারি না, অতএব যদি এত ছোট ছোট কাজ হওয়ার জন্য কোন কর্তার প্রয়োজন হয় তাহলে এত বড় আসমান ও এত বড় জমিন তো আর এমনিতেই হতে পারে না, সুতরাং এর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হবে। তাহলে যারা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয় তাঁদেরকে আমরা জ্ঞানহীন জনসংখ্যা নাস্তিক (অর্থাৎ যাদের মন নেই) বলতে পারি। আর আমরা যারা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী, কেউ কেউ অনেক সৃষ্টিকর্তা মনে করে, বাকিরা সৃষ্টিকর্তাকে এক মনে করে, আর যারা অনেক সৃষ্টিকর্তা মনে করে তাদের "মন" থাকলেও তাতে বেজাল আছে, কারণ একের অধিক সৃষ্টিকর্তা মানতে গেলে বেজালের উৎপত্তি হবে। দলীল সচরাচর সমকক্ষের সাথে মানুষের বেজাল তৈরি হয়। অতএব তারাও বেজাল মনের জনসংখ্যা। আর যারা সৃষ্টিকর্তাকে এক মনে করে তারাই প্রকৃত মানুষ। দলীল সচরাচর সমকক্ষ না থাকলে বেজালও থাকেনা, অতএব তাদের মন একরকম আছে কোন বেজাল নেই।
মন অর্থ পরিবর্তন হওয়া, মনকে মন বলা হয় কারণ তা সব সময় পরিবর্তন হতে থাকে, জ্ঞান ছাড়া শুধু যাদের মন থাকে তা সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে। আর যাদের মনের সাথে জ্ঞান আছে তা পরিবর্তন হতে থাকলেও জ্ঞান দিয়ে তা এক করে রাখে।
সার কথা: যাদের মন ও জ্ঞান থেকে শুধুমাত্র একটি আছে, তারা জনসংখ্যা এবং তাদের জন্য দুনিয়াটা আল্লাহর পক্ষ থেকে সারপ্রাইজ। আর যাদের উভয়টি আছে তারা মানুষ তাদের জন্য দুনিয়াটা আল্লাহর পক্ষ সাটিস্ফেকশন।
অতএব সময় থাকতে জ্ঞান অর্জন করুন এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে চিনুন জানুন মানুষের মতো মানুষ হউন।
জ্ঞান অর্জন করার জন্য মোমের মতো গলে যেতে হয়,
আর জ্ঞান অর্জন করা ছাড়া আল্লাহকে চেনা যায় না।
হাদীস শরীফে আছে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
কতটুকু? যতটুকুর সম্মোখীন সে হয়।
দুনিয়ার হায়াত ক্ষনস্থায়ী তাই দুনিয়াবি জ্ঞানও ক্ষনস্থায়ী,
আর আখিরাতের হায়াত চিরস্থায়ী তাই ধর্মীয় জ্ঞানও চিরস্থায়ী।
ধর্মীয় জ্ঞানের তুলনায় দুনিয়াবি জ্ঞান তুচ্ছ।
কুরআন হাদীসের তুলনায় বাকী জ্ঞান তুচ্ছ।
যারা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে তারা দুনিয়া আখেরাত উভয়টিতে সফলকাম হবে।
আর যারা দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করবে আখেরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতে সফলকাম হবে কিনা সন্দেহ আছে।
ছোট চিন্তায় যা কিছু আছে লিখলাম, মানুষ হিসেবে যদি কোন ভুল করে থাকি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
লেখক
হাফেজ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম।
Comments
Post a Comment