Posts

ছাত্র এবং শিক্ষক সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা।

সুন্দর জীবন সবাই চাই, কিন্তু পরিস্থিতি ও পরিবেশ মাঝে মাঝে তার জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতি ও পরিবেশের জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের উচিত খারাপ পরিস্থিতি ও পরিবেশকে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি মনোযোগী হওয়া। চলুন একটা উদাহরণ দেখি, কথায় আছে, যে দেশে জ্ঞানেগুণীদের সমাদর নেই, সে দেশে জ্ঞানী জন্মাতে পারেনা। অতএব লজ্জাজনক হলেও সত্য যে, আমার দেশে বই বিক্রি হয় পথে-ঘাটে আর জুতা বিক্রি হয় এসি রুমে। যে দেশে বই খাতার এত অপমান, সে দেশে জ্ঞানীদেরইবা আর কি সম্মান? আপনারা চিন্তা করুন। কোন এক মনিষী বলেছেন "যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত" আজ উন্নত জাতির পরিচয় অর্জন করতে গিয়ে আমরা যারা কষ্ট করে হলেও লেখাপড়া করেছি, বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরও তাদেরকে কেউ মেয়ে দিতে চায় না, কারণ আমাদের পঁচা সমাজটা টাকার মূল্য যতটা বোঝো জ্ঞানের মূল্য তার ১০০ ভাগের এক ভাগও বুঝে না। বুঝবেই বা কি করে? একজন রিক্সাওয়ালার বেতন গড়ে দৈনিক দেড় হাজার টাকা, আরেকজন প্রাইভেট টিচারের বেতন মাসিক ১ হাজার টাকা আবার যদি টিউশনটা অনলাইন থেকে নেওয়া হয় তাহলে ফিঃ দিতে হয় তার থেকে ৫০-৭০% তাও আবার অগ্রীম, কর্...

পরিস্থিতি, সময় ও বিশ্বাস।

বর্তমান সময়ে আমরা সবকিছু খুব সহজে পাই, তারপরও আমরা ভেজালের সাথে সম্পৃক্ত। এমনও একটা সময় ছিল যখন মানুষ খাওয়ার জন্য খাবার পায়নি, পান করার জন্য পানি পায়নি। হরেক রকমের খাবারের তো প্রশ্নই আসে না তারপরও মানুষ ভেজালের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। কারণ তাঁদের অন্তরে ছিল আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং মানুষের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হতে থাকে, মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী, বৃদ্ধি পায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ কুরআন হাদীসের প্রকৃত জ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে, দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনে মগ্ন হয়ে যায়। দুনিয়ার ক্ষনিকের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষের কাছ থেকে ধর্মীয় বুঁদ শক্তি লোপ পেতে থাকে। শুরু হয় চোরি ডাকাতির মতো জগন্য পাপ কাজও, যে সময়ে মানুষের গড় আয়ু ছিলো ১৩০-১৫০ বছর, ক্ষনিকের ব্যবধানে দোষ্চিন্তা ও ভেজালের পাল্লায় পড়ে মানুষের গড় আয়ু হয়ে গেল ৮০-৯০ বছর। এরপর শুরু হলো ভেজালের উপর প্রতিযোগিতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভেজাল জিনিস তৈরিতে যে যতবেশি এগিয়ে, তার দামও তত বেশী। ফলে শারীরিকভাবে মানুষ রোগের সাথে তো পাঞ্জা লড়ছে। এবং হঠাৎ মৃ...

"Surprise" চান? নাকি "Satisfaction"???

আমরা মানুষ, আর আমাদের একটা মন আছে। অতএব মন মানে পরিবর্তন, আরো আছে জ্ঞান, যার অর্থ দলীল দ্বারা প্রমাণিত বস্তুর সমর্থনকারী। উভয়টার মধ্যে যাদের একটা কম আছে তাদেরকে আমরা শুধু শুধু মানুষ না বলে জনসংখ্যাও বলে থাকি। এবার আসুন আমরা কতটুকু মানুষ আর কতটুকু জনসংখ্যা যাচাই করি। আমরা জানি কর্তা ছাড়া দুনিয়াতে কোন কিছু এমনিতেই হয় না, যার দলীল কর্তা হতে হলে অবশ্যই প্রাণ থাকতে হবে আর প্রাণ হলো আল্লাহর হুকুম, কারণ আমরা জানি পৃথিবীতে ছোট বড় যা কিছু কাজ হয় এর পেছনে একজন কর্তার হাত থাকে। যদি এর পেছনে কোনো কর্তার হাত না থাকে তাহলে সেটাকে আমরা কাজ বলতে পারি না, অতএব যদি এত ছোট ছোট কাজ হওয়ার জন্য কোন কর্তার প্রয়োজন হয় তাহলে এত বড় আসমান ও এত বড় জমিন তো আর এমনিতেই হতে পারে না, সুতরাং এর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হবে। তাহলে যারা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয় তাঁদেরকে আমরা জ্ঞানহীন জনসংখ্যা নাস্তিক (অর্থাৎ যাদের মন নেই) বলতে পারি। আর আমরা যারা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী, কেউ কেউ অনেক সৃষ্টিকর্তা মনে করে, বাকিরা সৃষ্টিকর্তাকে এক মনে করে, আর যারা অনেক সৃষ্টিকর্তা মনে করে তাদের "মন" থাকলেও ত...